নীলফামারী সদর রামনগর ইউনিয়ন বাহালীপাড়া মাস্টার পাড়ায় জিয়াউল ইসলামের বিনিময় জমি দখলের পায়তারা করছেন একই এলাকার আব্দুর রউফসহ তার দলবল। এবিষয় নীলফামারী সদর থানায় মামলা হয়েছে। যাহার মামলা নং-১৪, জিআর নং-২০১/২০২৩।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানাযায়, তফসিল বর্ণিত মৌজা-বাহালীপাড়া, থানা ও জেলা নীলফামারী জেএল নং-৪৪ এস.বি. এস ৫২ খতিয়ান ৫৭২, ৬৪২ এস.এ ১৩৭২ বি.এস, দাগ ২৭১৯ এস.এ ৩৭৫৮ বি.এস জমির পরিমান ০৭শতক।
গত ২৫ এপ্রিল ৩৭৮৪ নং বিনিময় দলিল মূলে জিয়াউল ইসলাম মালিক প্রাপ্ত হন। ওই জমিতে মাটি ভরাট করতে গেলে ০৩ জুলাই আব্দুর রউফ (৪৮), আশরাফুল ইসলাম আশিক (২৩) ও মোছা. আখি বেগম (৩৮) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে মাটি ভরাটে বাধা প্রদান করেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়।
ওই জমির মালিক শফিকুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম বলেন, আমি ১৪ বছর আগে এ জমিটি ক্রয় করছি আব্দুর রউফের কাছে এবং ১৪ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। রাস্তার সাথে জমিটি থাকার কারণে মাদরাসা নির্মাণের জন্য জিয়াউল ভাই আমার কাছে এ জমিটি চায়।
আমি জমির বিনিময় মূলে জমিটি জিয়াউল ইসলামকে লিখে দেই। জমিতে যখন মাটি ভরাট করা হয় তখন আব্দুর রউফসহ তার দলবল এসে মাটি ভরাটে বাধা ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন ওই জমিটি আব্দুর রউফ আমার নামে ক্রয় সূত্রে লিখে দিয়েছে তার কাগজ পত্র আমার কাছে সব আছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
ভুক্তভোগী জিয়াউল ইসলাম বলেন, আমি এর আগে আব্দুর রউফের কাছে থেকে এক জমি তিনবার কিনেছি। তবুও তার কাছ থেকে নিস্তার পাইনি। সে আবারও আমার মাদরাসা নির্মাণের জমিটি দখল নেয়ার চেষ্টা করছে।
এখন জমিতে নামতে গেলে সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। থানায় অভিযোগ দেয়া আছে। থানায় দু’পক্ষকে ডেকেছিল আমি থানায় গেছিলাম কিন্তু আব্দুর রউফ থানায় আসেন নাই।
জমি দখলের বিষয়টি আব্দুর রউফের কাছে জানতে তিনি কৌশল এড়িয়ে যান এবং তিনি বলেন, আমি সবার সামনে কোন কথা বলতে পারব না। আমার বাড়িতে আসেন সেখানে কথা হবে।
জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, জমি দখলের বিষয়ে থানায় একটি মামলা নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ